আল্লাহ তুমি পাকজাত নবিজীর ইজ্জতে কবুল কর মোনাজাত আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ দয়াময় দয়াল তুমি কুদরতে তোমার তোমারি হুকুমে চলে সয়াল সংসার। আল্লাহ আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ। আল্লাহ আমি বান্দা অপরাধী তোমারি দরবারে নিবেদন মিনতি করি দয়া করো মোরে আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ তোমারি তারিফ তুমি খালিক মালিক আল্লাহু আকবার তুমি…
Author: admin
দোজখ আমার ফুলের বাগান
দোজখ আমার ফুলের বাগান।। যদি গো তোমারে পাই চাই না সেই সুখ আমি যেই সুখে তোমায় ভুলে যাই।। তুমি আমার এতোই প্রিয় আট বেহেশতের চেয়ো।। সুখ নিয়ে সব দুঃখ দিও।। রাখিও চরণ সেবায়… তুমি বিনে যে দুঃখ পাই সাত দোযখেই সেই কষ্ট নাই।। আমি কি দোযখ রে ঢরাই।।। প্রেম আগুনে পুড়ে হয়ছি ছাই না হইলে…
জাননি প্রাণ বন্ধুয়া কার ঘরে আরে জগতের লোক
জাননি প্রাণ বন্ধুয়া কার ঘরে আরে জগতের লোক বন্ধুয়ার বিরহে আমার জ্বালা পুড়া বুক। এক নজর দেখিব তারে (ও কেউ) আমারে বলুক ! আরে জগতের লোক …. হইয়া যার প্রেমের ভিখারী দেশ বিদেশে তালাশ করি দয়া করি কেউ সাহায্য করুক। (ও আমি) কইতে নারী হৃদয় চিরি কি মায়া দেখুক ॥ আরে জগতের লোক ….. কেন…
জীবন মানেই তো যন্ত্রণা
পাঠালেন যে নিয়তি, তার কাছে এই মিনতি এই জীবন আর আমি চাই না। জীবন মানেই তো যন্ত্রণা বেঁচে থাকতে বোধয় শেষ হবে না। একটি জীবন করে অন্যটির আশা এরই নাম দিয়েছে মানুষ প্রেম ভালোবাসা। মনের আশা মনেই রইলো কেউ তো জানে না। জীবনে আসে কতো ভালো আর মন্দ জীবনে আসে কতো দ্বিধা আর দন্দ জীবনে…
যুগল মিলন হইলো গো
যুগল মিলন হইলো গো বৃন্দাবন আজ প্রেমে ভাইসা যায় রসে রঙ্গে রাই রঙ্গিনী নাচিয়া বেড়ায় দেখো গো।। হাত বাড়াইয়া শ্যাম চান্দে গো দেখো ধরে রাইর গলায় একই রঙ্গে এক মুরলী দুইজনে বাজায় দেখোগো।। শ্যামের গায়ের পিন্দের বসন গো দেখো দিলার রাইয়ের গায় কে বা রাই কে বা শ্যামও চিননো না যায় দেখো গো।। ভাইবে রাধা…
তাল হারা বেতালা, মন হইয়াছে উতালা
তাল হারা বেতালা, মন হইয়াছে উতালা – উধর ভরিয়া প্রেমের সারাব খেয়েছি। মাতাল হইয়াছি আমি পাগল হইয়াছি।। খেয়েছি প্রেমের সারাব, আমার কিসের অভাব। বাংলার নবাব আমি সেজেছি – কখন আসে মীরজাফর, ভয়ে কাপে এই অন্তর এই হালে দিন আমি কাটাইতেছি।। মাতাল হইয়াছি আমি পাগল হইয়াছি।। সারাবের ভিতরে দেখেছি যারে। তার ছবি আমি আঁকিতেছি – পেলে…
বাজনার গুণে গান ভালরে, জর্দার গুণে পান
বাজনার গুণে গান ভালরে, জর্দার গুণে পান প্রেমের গুণে লাগে ভালো, প্রিয়ার অভিমান || রইদে বানে মেঘের ছায়া, বাদলা দিনের ছাতা গরমের দিনে পাংখা ভালো, শীতের দিনে কাঁথা……… অভিসারের জন্য ভালো নিরব নির্জন স্থান মন বাউলের লাগে ভালো গাইতে বন্ধুর শান’রে || বেশির চেয়ে কম ও ভালো হয় যদি আসল জাতের মেয়ে কালো ভালো ঘোলা…
জীবন খাতায় প্রেম কলঙ্কের দাগে দাগাইয়া
জীবন খাতায় প্রেম কলঙ্কের দাগে দাগাইয়া ছাড়িয়া যাইওনা রে বন্ধু মায়া লাগাইয়া ।। জড়াইয়া মায়ারও ডুরে পিরিতে বান্ধিয়া মোরে খেলাইও না হৃদয়টা রে লইয়া হাতে ধইরা ছাইড়ো না হাত সামনে আগাইয়া ।। মিছা সুখে না হাসাইও দুঃখ দিয়া বুক ভাসাইও যাইওনা গো মনভোলা’রে থইয়া বেহায়া রে লাত্থি মাইরা দিস না ভাগাইয়া ।। কতো গুণী ধনী…
জুড়াইত পিরিতের জ্বালা তোমারে দেখিয়ারে
জুড়াইত পিরিতের জ্বালা তোমারে দেখিয়ারে কান্দে পরাণ তোমারও লাগিয়া তুমি বিনে এভুবনে বন্ধু কেউ নাইরে আপনা কইতে নারি সইতে নারি বুক ভরা বেদনা বন্ধুরে তোমার লাগি দিল দেওয়ানা আশায় থাকি চাইয়ারে।। দুঃখ বুকে কইনা মুখে যে আগুনে জলি বারন হইত শুনলে তোমার মধুমাখা বুলি বন্ধুরে আমার বুকে দিয়া চুরি কই রইলে লুকাইয়ারে তোমায় পাইতে আমির…
তোমার মুখের হাসি ওলো রূপসী
তোমার মুখের হাসি ওলো রূপসী কত ভালবাসি ওলো আওলাকেশি কুলবালা। দেখিয়ে দুটি অধর গায়ে এলো প্রেমো জ্বর বাকা চাহনিতে তর পরানও ভূলা উদিত আকাশের চান কারিয়া নিয়াছো প্রান মনে চাহে তোমারে নিরালা।। আওলাকেশি কুলবালা। জানিনা পরিচয় দেখা দিলে অসময় বাড়াইয়া দিলেলো বিরহজ্বালা অপরূপও কি বাহার তুই যদি হইতে আমার ভাসাইতাম জীবন ভেলা।। আওলাকেশি কুলবালা। তোমারি…
হায়রে হায়’ হায় আল্লা” হায় হায় মাত্তম
হায়রে হায়’ হায় আল্লা” হায় হায় মাত্তম । আইলো মহরমের চাঁন’ নবীর বংশের রক্তে ভাসে, কারবালার ময়দান ॥ হায়রে হায়’ হায় আল্লা” হায় হায় মাত্তম । ১ হায়রে হা – – – য় শুনহে আল্লার বান্দা’ এমন এক দাস্তান । শাহাদতে ইমাম হুছাইন, করতেছি বয়ান ॥ যে হুছাইন মাই ফাতেমার’ দুই নয়নের তারা । যে…
কোরানের ফজিলত মা গো
কোরানের ফজিলত মা গো ফাতেমা জগত জননী । মা গো তুমি নাজাত দাতা পরমাত্মা সর্বগুনি ।। ফাতেমা জগত জননী । তুমি বতুল্ ‘তুমি জাহরা রছুলুল্লার নয়নমনি মা’ রছুলুল্লার নয়নমনি । ওয়া আলা ইলাহার জ্যোতি তোমার ঘরে হয় রওশনি ।। ফাতেমা জগত জননী । মায়ের হাতে তালা কুঞ্জি মা’ তুমি রহমতের খণি গো মা’ তুমি রহমতের…
প্রেমের ভুবনে মিলনে লাগিল কৃষ্ণলীলা
প্রেমের ভুবনে মিলনে লাগিল কৃষ্ণলীলা। রাধা শ্যামে দুই নামে জগত উজালা ॥ প্রেমের ভুবনে মিলনে লাগিল’কৃষ্ণলীলা। তন রাধা মন কানু দমে নামে খেলা জীবে আর পরমে মিশে রঙ্গেতে রঙ্গিলা ॥ প্রেমের ভুবনে মিলনে লাগিল কৃষ্ণলীলা। এক হইতে আমি তুমি দুই অঙ্গ হইলা পিরিতেরি অভিলাষে বহুরূপ সাজিলা ॥ প্রেমের ভুবনে মিলনে লাগিল কৃষ্ণলীলা। কৃষ্ণ রাধার রাধা…
দয়া করে নামটি আমার তোমার পাক চরণে লেখো
দয়া করে নামটি আমার তোমার পাক চরণে লেখো দয়াল বন্ধু দয়া করে আমার পানে চেয়ে দেখো তোমার পাক চরণে লেখো। রহিম নামের দিকে চাও অপরাধ ক্ষমা দাও বন্ধু হয়ে বন্ধুর কথাটুকু রাখো সত্য সুজন চিরসদয় দয়াল নাম হইওনা নিদয় ভিখারিণীর হিসাব কি রয় লাখো ॥ অন্তরের দুঃখ ছাড়ো হাসিয়া বরণ করো তুমি ছাড়া আমার আর…
দিন যায় ব্যাপারও করিবার দিন যায়
দিন যায় ব্যাপারও করিবার দিন যায় কতনা জাতের মাল, উঠিছে বাজারে – ঈমানদারে বুঝিয়া শুনিয়া, মাল খরিদ করে।। কেউ কিনে তামা খাসা, কেউ কিনে সোনা- কেউ হারাইলো মূলে আসল, কেউরে সত্তর দোনা।। কপালেরও গুনে যারা, প্রেম খরিদ করে- প্রেমের মানুষের কাছে, বিকায় আপনারে।। জান্নাত জান্নাত কইয়া হাকে দিবারাতি- হক বাতিল দুইটা গল্লি সুমতি কুমতি।। মনরে…
বন্ধুয়ার বিরহে আমার জ্বালা পুড়া বুক
জাননি প্রাণ বন্ধুয়া কার ঘরে আরে জগতের লোক বন্ধুয়ার বিরহে আমার জ্বালা পুড়া বুক। এক নজর দেখিব তারে (ও কেউ) আমারে বলুক ! আরে জগতের লোক …. হইয়া যার প্রেমের ভিখারী দেশ বিদেশে তালাশ করি দয়া করি কেউ সাহায্য করুক। (ও আমি) কইতে নারী হৃদয় চিরি কি মায়া দেখুক ॥ আরে জগতের লোক ….. কেন…
পোড়া মনের দুঃখ তোরা শুইনা কি করিবে
পোড়া মনের দুঃখ তোরা শুইনা কি করিবে তোমরা নি মোর প্রান বন্ধুরে আনিয়া দেখাইবে’গো সখী তোরা শুইনা কি করিবে। আমার প্রাণ বন্ধুর তালাশে যে সখী যাইবে পরশমনি চরণ তাহার ভাগ্যেতে মিলিবে গো সখী… তোরা শুইনা কি করিবে। পুবেতে উদয়গো ভানু পশ্চিমে ডুবিবে অমবশ্যা রাতেনি কেউ পুর্ণিমা দেখিবে’গো তোরা শুইনা কি করিবে। প্রান বন্ধুরে যে পাইবে…
হে দীনবন্ধু !
হে দীনবন্ধু ! মম হৃদয়ে এসে হও আবির্ভাব। আমার এ অপবিত্র দেহ তোমারি পরশে জাগিবে পূণ্যময় প্রেমেরই প্রভাব ॥ আমি নিকৃষ্ট তুমি হে শ্রেষ্ঠ, সর্ব উৎকৃষ্ট জানি হও করি আহ্বান করে অধিষ্ঠান তব আয়ত্বি আছি বুঝে লও তুমি ধন্যবাদ ক্ষমা করো অপরাধ জাগিবে নতুন হয়ে আমারি স্বভাব ॥ সুহৃদ আছতো কেন পরাশ্রিত, আমারে হইতে দিবা…
এখনো ননদী জাগে
এখনো ননদী জাগে কি উপায় করি বলো না অভিমান করে তুমি চলে যেওনা।। বৈরী জটিলা শাশুড়ী ননদীরে রাখছে কড়া শাসন করি ঘুমায় না আজব প্রহরী সঙ্গ ছাড়া হতে চায় না। আমার ছায়ার দিকে লক্ষ্য রাখে চেয়ে থাকে চোখ ফিরায় না। অভিমান…. আমার মত নকল রাধা মিলত যদি আর রাখিতাম ননদীর পাশে না বুঝিত সার বিনয়ে…
কোরানের ফজিলত মা গো ফাতেমা জগত জননী
কোরানের ফজিলত মা গো ফাতেমা জগত জননী। মা গো তুমি নাজাত দাতা’ পরমাত্মা সর্বগুনী ॥ তুমি বতুল তুমি জাহরা’ রছুলুল্লার নয়নমনি গো রছুলুল্লার নয়নমনি! ওয়া ‘লা ইলাহার জ্যোতিঃ তোমার ঘরে হয় রৌশনী । তালা কুঞ্জি তোমার হাতে, মা তুমি রহমতের খণি গো মা তুমি রহমতের খণি ! আসিলে খাদিজার কোলে’ বিশে জমাদিউস সানি । মা…
চার রঙে ফুটিয়াছে ফুল কুরেশের বাগিচাতে
চার রঙে ফুটিয়াছে ফুল কুরেশের বাগিচাতে যে পাইল ফুলের গন্ধ, অমর হইল ধরাতে।। আব্দুল্লারই ঔরসেতে পাইল বিবি আমেনায় তিনশ নারীর মৃত্যু হইল, সে ফুল পাইবার আশায় দিল ফুল বিধাতায়, আমিনারই গর্ভেতে।। জন্ম নিয়া মায়ের স্তনে, মুখ দিলা না নুরীতন ইয়া হাবলী উম্মতি বলে, সজিদায় পড়েন তখন কান্দিয়া ভিজাইলেন বদন, উম্মতকে উদ্ধারিতে।। ইসলাম ধর্ম করলেন জারি,…
ও কোকিল তোর সুরে কাঁদে প্রাণি
ও কোকিল তোর সুরে কাঁদে প্রাণি ডাক শুনিয়া ঘুম ভাঙিয়া হইলাম রে উদাসিনী।। ছিলাম আমি কাল স্বপনে, প্রাণবন্ধু দেখি সামনে রে মিশাইয়া প্রাণে প্রাণে, বলি দুঃখের কাহিনী।। কুহু কুহু গান শুনিয়া, হঠাৎ গেল ঘুম ভাঙিয়া রে চক্ষু মেলে দেখি চাইয়া, কাছে নাই গুণমণি।। কোকিল বসন্তকালে, কাঁদাইতে কেন এলে রে কইও বন্ধের চরণ তলে, দুর্বিন শাহর…
আমার দীন দরদী মাঝি ভাই
আমার দীন দরদী মাঝি ভাই আমায় পার করে দাও যাব সে পারে তোমার নাম ভরসা করে পাড়ি দিলাম পাথারে।। বেলা গেলো সন্ধ্যা হলো সঙ্গের সাথী নাই সে পারে বন্ধুয়ার বাড়ি কেমন কইরা যাই নিজে এসে হও কান্ডারি ডাকিয়াছি তোমারে।। অকূলিয়ার কুল গো তুমি পাতকির তারণ পার করে নেও তোমার নামটি যে করে স্মরণ নামেতে কলঙ্ক…
বন্ধু যদি হইতো নদীর জল
বন্ধু যদি হইতো নদীর জল, আমার, বন্ধু যদি হইতো নদীর জল, পিপাসাতে পান করিয়া, পুড়া প্রান করতাম শীতল যাইতাম ঘাটে কলসী লইয়া আমি মীন হইয়া থাকতাম মিশিয়া আমি আনন্দে সাতার কাটিয়া মধ্য গাঙ্গে হইতাম তল বন্ধু যদি হইত গো বাঁশী আমি হইতাম কালো শশী আমি তমালের ডালে বসি বন্ধুর গানের গাইতাম গজল সময় আমার নাই…
নির্জন যমুনার কূলে
নির্জন যমুনার কূলে বসিয়া কদম্ব তলে বাঁজায় বাঁশী বন্ধু শ্যাম রাই বাঁশীতে কি মধু ভরা আমারে করিল সারা আমি নারী ঘরে থাকা দায় কালার বাঁশী হলো বাম বলে শুধু রাধা নাম কুলবঁধুর কুলমান মজায় বাঁশীর সুরে অঙ্গ জ্বলে ঘরের জল বাহিরে ফেলে পুনঃ রাধা যায়রে যমুনায় শোন গো ললিতে সখী বন্ধু ছাড়া কেমনে থাকি প্রাণপাখী…
আমার অন্তরায় আমার কলিজায়
আমার অন্তরায় আমার কলিজায় প্রেমশেল বিঁধিল, বুক ছেদে পিঠ পার হইল গো।। মারিয়া ভুজঙ্গ তীর, কলিজা করিল চৌচির কেমনে শিকারি তীর মারিল গো বিষ মাখাইয়া তীরের মুখে, মারিল তীর আমার বুকে দেহ থইয়া প্রাণটি লইয়া গেল গো।। নতুন ও যৌবনের বেলা, আমারে পাইয়া অবলা প্রেম শিখাইয়া কেন ছেড়ে গেল গোচ জ্বালাইল প্রেমও আগুন জ্বল দিলে…
বন্ধু যদি হইত বাতাস
বন্ধু যদি হইত বাতাস সর্বদায় লাগিত অঙ্গে, পুরিত মনের বিলাস ।। হইত যদি সোনা রূপা, বানাই কর্ণচাঁপা গো কানে দিয়া সোনার গয়না, সুখে থাকতাম বারমাস ।। হইত যদি আধা রাত্রি, আমি হইতাম মোমের বাতি গো ধরিয়া উজ্জল জ্যোতি , আঁধারে করতাম প্রকাশ ।। বন্ধু যদি হইত কবর, দুর্বিন শাহ বান্ধিত ঘর গো বন্ধু যদি হইত…
প্রাণবন্ধু নাই দেশে, রইলো কোন বিদেশে
প্রাণবন্ধু নাই দেশে, রইলো কোন বিদেশে কেউ জানলে খবর কও আমারে।। গাঙপাড়ের গাঙচিলারে তোর উড়াউড়ি করে সেই মতন অভাগির পরান ঘরে-বাইরে দৌড়ে।। আকাশ ভাঙিয়া বাতাস আনে, কণা বৃষ্টি পড়ে মেঘের আকাশ ভেঙে গেল যৌবনের জোয়ারে।। কোন বা দেশে গেল বন্ধু, না জানি কার ঘরে দুর্বিন শাহ কয় কেউ আনিয়া দিল না বন্ধুরে।। আপনার পছন্দের তালিকায়…
নমাজ আমার হইল না আদায়
নমাজ আমার হইল না আদায় নমাজ আমি পড়তে পারলাম না, দারুণ খান্নাছের দায়।। ফজরের নমাজের কালে, ছিলাম আমি ঘুমের ঘোরে জোহর গেলো আইতে-যাইতে, আছর গেল কামের দায়।। মাগরিবের নমাজের কালে, গিয়াছিলাম গোয়ালঘরে গাভী রইলো হাওরেতে, বাছুর আমার বান্ধা নায়।। এশার নমাজ কালে, বিবি বলে চাউল ফুরাইছে ছেলে মেয়ের কান্দন শুনে, কান্দে পাগল দুর্বিন শায়।। আপনার…
সুখের নিশি প্রভাত হলো উদয় দিনমণি
সুখের নিশি প্রভাত হলো উদয় দিনমণি না জানি আজ কার বা কুঞ্জে রইল গুণমণি গো সখি।। ফুলের শয্যায় ছিলাম নিদ্রায় শুইয়া একাকিনী কর্ণমূলে প্রবেশিলে কোকিলার ধ্বনি গো সখি।। নিদ্রা ভঙ্গ জ্বলে অঙ্গ নয়নে বয় পানি মনে লয় আজ কূল ছাড়িয়া হইতাম পাগলিনী গো সখি।। আসা পন্থে চাইতে চাইতে গেল যামিনী দুর্বিন শাহ কয় কোনদিন জানি…
তুমি ছাড় নৌকা বেলার দিকে চাহিয়া
তুমি ছাড় নৌকা বেলার দিকে চাহিয়া রে সুজন ও নাইয়া ও মাঝিরে………. সামনে বিপদ ও ভারী কেউ নাই তোমার কান্ডারী কেমনে তাক আশার পথে চাহিয়া।। আপন আপন যারা ছিল একে একে সবই গেল পারঘাটায় আমায় গেল থইয়া।। ও মাঝিরে……… হীরা মন মাণিকের দেশে সাধুজনা বেপার করে ভুবন ও মোহিনী রূপ দেখিয়া মণি মুক্তা পাওয়ার আশায়…
সামসু দেওয়ান
সামসু দেওয়ান : নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের সত্যবান্দি গ্রামে ১৯৪২ সালে জন্ম । তাঁর বাবা নৈয়দ্দিন ভূঞা, মা সামিরুন বেগম । সাত বছর বয়সে গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে দুই চোখের দৃষ্টি হারান । ফলে পড়াশোনা হয়ে ওঠেনি। ১৯৬৫ সালে নিজ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল গ্রামের বাউলসাধক গোঁসাই কেবল কৃষ্ণ দাসের সংস্পর্শে এসে সংগীত সাধনার…
ফকির সমছুল
ফকির সমছুল : সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ধরাধরপুর গ্রামে ১৯৪১ সালে জন্ম। তাঁর বাবা লাল মোহাম্মদ, মা সোনাবান বিবি । পাঁচ বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। সংসারের অভাব দূর করতে পিতার পাশাপাশি ফকির সমতুল নিজে কিছুদিন চাকরি করেন এবং পরে বাড়ি বাড়ি ফেরি করে ব্যবসা করেন। তখন বার তিনেক রোগে-শোকেও পড়েন। এই সময়ই…
সামসুদ্দিন আহমেদ এছাক
সামসুদ্দিন আহমেদ এছাক : সামসুদ্দীন আহমেদ এছাক নরসিংদীর বোয়াকুড় গ্রামে ১৯৪১ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর বাবা মোল্লা মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, মা নুর খাতুন বেগম। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। ‘শেষ উপহার’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত তাঁর রচিত ও সুরারোপকৃত ‘চিরদিন তোমাকে ভালোবেসে যাব’…
শেখ ওয়াহিদুর রহমান
শেখ ওয়াহিদুর রহমান সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার খানারিপাড়া মানে ১৯৩৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্য। তাঁর বাবা সিদ্দিকুর রহমান, বিবি। বিয়ানীবাজার পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি তাঁর নিজ উপজেলার দেউল গ্রামের হালিমা রহমানকে বিয়ে করেন। তাঁর ছয় ছেলে রয়েছেন। ১৯৭০ সালে তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী হন। পরে…
শাহ রমিজ আলী
শাহ রমিজ আলী সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ছনখাইড় গ্রামে ১৯৩৫ সালের ১২ ডিসেম্বর তাঁর জন্ম তাঁর বাবা ফুরকান আলী, মা গুলজান বিবি। গ্রামের নৈহত মোড়ল তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যন্ত পড়াশোনা করে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন । প্রখ্যাত বাউলসাধক দুর্বিন শাহের কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করে ১৫ বছর বয়স থেকেই গান…
গিয়াসউদ্দিন আহমদ
গিয়াসউদ্দিন আহমদ : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার শিবনগর গ্রামে ১৯৩৫ সালের ১৪ আগস্ট জন্ম। তাঁর বাবা মো. ফতেহ উল্লাহ, মা অমুরতা বিবি। ১৯৬০ সালে মালজোড়া গানের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ। এরপর মরমি ভাবধারা ও বাউল আঙ্গিকের প্রায় এক হাজার গান লিখেছেন । আঞ্চলিক গান রচনায় তাঁর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা । তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ : মরিলে কান্দিস না…
কফিলউদ্দিন সরকার
কফিলউদ্দিন সরকার : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের মালঞ্চপুর গ্রামে ১৯৩২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জন্ম। তাঁর বাবা মো. রিয়াজ উদ্দিন, মা করিবুনন্নেসা। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ । তাঁর প্রথম স্ত্রী কুলসুমা বিবি। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে এক ছেলে ও তিন মেয়ে জন্ম নেয়। ১৩৫২ বঙ্গাব্দ থেকে তিনি আমৃত্যু সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার…
খোদা বকশ শাহ
খোদা বকশ শাহ : চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার করজাহাপুর গ্রামে ১৯২৮ সালে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা মুহম্মদ কফিলউদ্দিন বিশ্বাস। ১৯৭৬ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চকাবাড়িয়া গ্রামের মরমি সাধক শুকচাঁদ শাহের শিষ্য হয়ে ফকিরি পোশাক ধারণ করেন। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন বালক বয়সে যাত্রাদলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর ছিল সুমধুর কণ্ঠ । লালন…
ফকির ছিদ্দিকুর রহমান
ছিদ্দিকুর রহমানঃ ছিদ্দিকুর রহমান ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা শেখ আমরু মিয়া, মা সুরতুননেছা। সুনামগঞ্জের হোসেনপুর গ্রামের শাহ মোহাম্মদ আনাছ আলীকে পীর হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম মায়ারুন নেছা। তাঁর সন্তানেরা হচ্ছেন রেহানা বেগম, রোকশানা বেগম, বাবলু মিয়া চুনু, রুনা বেগম, রিপা বেগম, বদরুল আলম, রিতা…
দুর্বিন শাহ
দুর্বিন শাহ: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই গ্রামের তারামন টিলায় ১৯২১ সালে জন্ম । তাঁর বাবা সফাত আলী, মা হাসিনা বানু। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৩৫ সালে তিনি উপজেলার বাগবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। ১৯৪৬ সালে নিজ উপজেলার জোড়াপানি গ্রামের সৈয়দ আলীর মেয়ে স্বরূপা বেগমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে…
মকরম শাহ
মকরম শাহ : ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দ) বৈশাখ মাসের এক ভোরে সুনামগঞ্জের বাহাদুরপুর গ্রামে তার জন্ম । তাঁর বাবা সফাত শাহও ছিলেন একজন ফকির, মা খোদেজা বিবি গৃহিণী ছিলেন । তাঁর পুরো নাম মোহাম্মদ মকরম আলী শাহ। বাহাদুরপুর মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শেষ করে সিলেটের গোলাপগঞ্জের রানাপিং মাদ্রাসা থেকে তিনি দাখিল পাস করেন। পিতৃব্য আজম শাহের…
আব্দুল খালেক দেওয়ান
আব্দুল খালেক দেওয়ান : সাধক, কবি ও শিল্পী খালেক দেওয়ান ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার শাক্তা ইউনিয়নের বামনসুর গ্রামে ১৩১৬ সালের ১২ই ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আলেপ চান্দ শাহ্ ওরফে আলফু দেওয়ান নিজেও একজন সাধকপুরুষ ছিলেন। তাঁর মা বিবরন নেসা ছিলেন একজন গুণী মহিলা। বাবামায়ের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন আব্দুল মালেক দেওয়ান (জন্ম…
রজ্জ্বব আলী দেওয়ান
রজ্জ্বব আলী দেওয়ান : ঢাকা জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ডেমরার চরচনপাড়া গ্রামে ১৯০৬ সালে জন্ম । পারিবারিক সূত্রে শৈশব থেকেই গানবাজনার প্রতি ছিল প্রচণ্ড ঝোঁক। বারো বছর বয়সে গানে হাতেখড়ি নেন। তাঁর পিতা মো. জহুর আলী দেওয়ান । জ্ঞানের প্রদীপ নামে তাঁর তিন খণ্ড গানের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে আপনার পছন্দের তালিকায় যোগ করুন
মহিন শাহ
মহিন শাহ : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার হরিহরদিয়া গ্রামে ১৯০৩ সালে (১৩১০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাস) জন্ম। তাঁর বাবা মঙ্গল ফকির, মা নসিরন নেছা। চতুর্থ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁর বাবা ছিলেন দুদ্দু শাহের শিষ্য। সংগত কারণেই গানের পরিবেশে বড় হওয়ায় নিজেও ফকিরি-ধারায় জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি লালন-ঘরনার চতুর্থ সিঁড়ির সাধক। মহিন শাহের বিশ বছর বয়সে পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের (১৯০৪-১৯৭৬)…
দীন শরৎ
দীন শরৎ : নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া গ্রামে ১৩১০ বঙ্গাব্দে জন্ম। তাঁর বাবার নাম কুটীশ্বর দেবনাথ। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়েই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। শৈশবে মাকেও হারান। নয় বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ফলে দুঃখ-কষ্ট সঙ্গী করেই বড় হয়েছেন। অন্ধ হওয়ার আগে গ্রামের পাঠশালায় সামান্য পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর রচিত আত্মজৈবনিক গান…
রকিব শাহ
রকিব শাহ : রকিব শাহ ১৯০২ সালে সিলেট শহরের কাজীটুলা এলাকায় জনুগ্রহণ করেছেন। তার বাবা কাজী মোহাম্মদ ইবরাহীম, মা জমির রৌশন। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড়। সিলেট শহরের রাজা জিসি হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু এন্ট্রান্স পরীক্ষা না দিয়ে তিনি প্রকৃতি থেকে শিক্ষালাভের জন্য দেশভ্রমণে বের হন। এগারো বছর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ শেষে পুনরায়…
কামালউদ্দিন
কামাল উদ্দিন : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে ১৩০৭ বঙ্গাব্দে জন্ম । তিনি একই সঙ্গে কামাল পাশা ও কামাল মিয়া নামেও পরিচিত ছিলেন । সিলেট অঞ্চলে মুর্শিদ মেনে বাউল সাধনায় প্রবেশের রেওয়াজ থাকলেও তিনি ছিলেন বে-মুর্শিদা । দেহতত্ত্ব, মুর্শিদি, বিচ্ছেদ, আঞ্চলিকসহ প্রায় এক হাজার গান লিখেছেন । তবে জীবদ্দশায় তাঁর কোনো গানের সংকলন প্রকাশিত হয়নি…
ভবা পাগলা
ভবা পাগলা : তাঁর জন্মসাল নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে । কারও মতে—তিনি ১৮৯৭ সালে এবং কারও মতে—তিনি ১৯০৩ সালের অক্টোবর মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন । জন্মস্থান ঢাকা জেলার ধামারাই উপজেলার আমতা গ্রামে। তাঁর বাবা গজেন্দ্রমোহন রায়চৌধুরী, মা গয়াসুন্দরী দেবী । তিনি ছিলেন জমিদার বংশের সন্তান তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয় । ভবা…
জালাল উদ্দীন খা
জালাল উদ্দীন খা: নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আসদহাটি গ্রামে ১৮৯৪ সালে ২৫ এপ্রিল জন্ম। তাঁর বাবা সদরুদ্দিন খাঁ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে নেত্রকোনা দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এ সময় বাইশচাপড়া গ্রামের প্রখ্যাত বাউলসাধক রশিদ উদ্দিনের বাড়িতে লজিং থাকতেন। ফলে রশিদ উদ্দিনের সংস্পর্শে এসে বাউলগানে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। বাউলগানের প্রভাব থেকে মুক্ত করার জন্য তাঁর…
দেওয়ান একলিমুর রাজা
দেওয়ান একলিমুর রাজা : তার জন্ম ১৮৮৯ সালের ৫ নভেম্বর বুধবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামে। তিনি প্রখ্যাত গীতিকার হাসন রাজার তৃতীয় ছেলে। তার মা মোসাম্মৎ সাজেদা বেগম। তাঁর পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিলেন। তাঁর নানার বাড়ি বর্তমান ভারতের করিমগঞ্জ জেলার কুশিয়ারকুল পরগণনার কর্ণমধু গ্রামে । আট বছর বয়সে মন্টুবাবু নামে এক ব্রাহ্মণ শিক্ষকের হাতে তাঁর শিক্ষার…
রশিদ উদ্দিন
রশিদ উদ্দিন : নেত্রকোনা পৌরসভার বাহিরচাপড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারে ১৮৮৯ সালের ২১ জানুয়ারি জন্ম। তাঁর বাবা মশ্রব উদ্দিন, মা ফজর বানু। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর দাদা আজম মোড়ল ছিলেন একজন নামকরা কুস্তিগীর ও পালোয়ান ছোটবেলা থেকেই গান তাঁকে টানত। সেই গানের টানে ১৫/১৬ বছর বয়সে পাশের গ্রাম পুকুরিয়ার বৈষ্ণব ভক্ত টকন…
উকিল মুনশি
উকিল মুনশি : ১৮৮৫ সালের ১১ জুন নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার নুরপুর বোয়ালী গ্রামে জন্ম। তাঁর প্রকৃত নাম আবদুল হক আকন্দ। তাঁর বাবা গোলাম রসুল আকন্দ, মা উকিলেন্নেসা। দশ বছর বয়সে বাবাকে হারান। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন। তাঁর বয়স যখন ১৮ বছর তখন ঘাটুগানে নিজেকে জড়িয়ে নেন। ১৯১৫ সালে তিনি নিজ জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার…
খন্দকার রমিজ উদ্দিন
খন্দকার রমিজ উদ্দিন : কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কামারচর গ্রামের অধিবাসী তিনি । তাঁর বাবা খন্দকার পানাউল্লা হজ পালনের করার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে নিয়ে মক্কায় গিয়েছিলেন, সেখানেই ১৮৮০ সালে তাঁর জন্ম । কিশোর বয়স থেকেই কবিগান, যাত্রাগান ও বাউলগানের আসরে তাঁর যাতায়াত ছিল । তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন । আরজা খাতুন ও নুরজাহান নামে তাঁর…
মুন্সী মনিরউদ্দিন
মুন্সী মনিরউদ্দিন : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামে ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জুন তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা হাছানউল্লাহ, মা লাল বিবি। শৈশবে গ্রামের পাঠশালায় বাংলার পাশাপাশি আরবি, ফারসি ও উর্দু ভাষা রপ্ত করেন । ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। ধীরে ধীরে তাই তিনি ঝুঁকে পড়েন আধ্যাত্মিক, শরিয়তি, মারফতি ও আঞ্চলিক গানে । একসময় গান রচনার…
আরকুম শাহ
আরকুম শাহ : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর গ্রামে ১৮৭৭ সালে জন্ম । যদিও তাঁর জন্মসাল নিয়ে গবেষকদের মতে বিস্তর মতভেদ রয়েছে । কেউ আবার তাঁর জন্ম ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দ বলেও মনে করেন । তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আছিম । তাঁর মুর্শিদ শাহ আবদুল লতিফ। ১৯৪১ সালে তাঁর একমাত্র গানের সংকলন হকিকতে সিতারা প্রকাশিত হয়েছে । তিনি…
মনোমোহন দত্ত
মনোমোহন দত্ত : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া গ্রামে ১৮৭৭ সালে জন্ম । তাঁর বাবা পদ্মনাথ দত্ত । পিতামহ বৈদ্যনাথ দত্ত সংগীতানুরাগী ছিলেন। মনোমোহনের সংগ্রীতপ্রতিভা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। আঠারো বছর বয়সে পারিবারিক গুরু আনন্দ স্বামীর নিকট দীক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর সাধক জীবনের শুরু । তিনি ধীরে ধীরে ‘মনোমোহন সাধু’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন স্বভাব…
ইব্রাহিম তশনা
ইব্রাহিম তশনা : সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বাটইআইল গ্রামে ১৮৭২ সালে জন্ম । তাঁর মূল নাম শাহ মুহাম্মদ ইব্রাহিম আলী । তবে তশূনা নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন । তাঁর বাবা শাহ আবদুর রহমান কাদরী । তিনি গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন । ১৮৮৯ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ যান এবং ১৮৯৮ সালে তিনি সেখান থেকে…
আলেফ চান দেওয়ান
আলেফ চান দেওয়ান : ঢাকার কেরানীগঞ্জের বামুনশুর গ্রামে ১৮৬৫ সালে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা মো. ইসমাইল দেওয়ান। আলেফ চান দেওয়ান ছিলেন পাকিস্তানের করাচির প্রসিদ্ধ পির হজরত শাহ লক্ষর শাহের শিষ্য। তিনি আলফু দেওয়ান নামেও পরিচিত। তিনি বাউলগায়ক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয় । আপনার পছন্দের তালিকায় যোগ করুন
শাহ আজাহার
শাহ আজাহার: টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার বিনানইরচর গ্রামে ১৮৬৫ সালে জন্ম। তাঁর বাবা খন্দকার মাঈনুদ্দীন, মা ইরফান বিবি। চার বছর বয়সে পিতৃহারা হলে চাচা খন্দকার বঙ্গবক আলী তাঁর পরিবারের দায়িত্ব নেন । কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই পারিবারিক কলহ শুরু হলে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর গ্রামে চলে আসেন। সেখানেই স্থায়ীভাবে…
হাসন রাজা
হাসন রাজা : সুনামগঞ্জের লক্ষ্মণশ্রী তেঘরিয়া গ্রামে এক জমিদার বাড়িতে ১৯৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর জন্ম। তার বাবা দেওয়ান আলি রাজা চৌধুরী, মা হুরমত জাহান। তার পূর্বপুরুষেরা ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের। মাত্র ১৭ বছর বয়সে । জমিদারি তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হন। সিলেট ও সুনামগঞ্জের উল্লেখযোগ্য এলাকা তাঁর জমিদারির আওতাধীন ছিল। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও আরবি,…
দীনহীন
দীনহীন : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে ১৮৫৪ সালে জন্ম। তবে এই জন্মসাল নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তার মূল নাম শাহ মুনশি জহির উদ্দিন । তাঁর বাবা শাহ সফর উদ্দিন। তাঁর মুর্শিদ হবিগঞ্জের সুলতানসীর সৈয়দ আবদুর রহিম হোছেনী ওরফে মলাই মিয়া। দীনহীনের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল, এরা প্রত্যেকেই এখন প্রয়াত । তার ছেলেদের…
পাঞ্জু শাহ
পাঞ্জু শাহ : ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা গ্রামে ১২৫৮ বঙ্গাব্দের (১৮৫১ খ্রি.) ২৮ শ্রাবণ তাঁর জন্ম । তাঁর বাবা খাদেমালি খন্দকার, মা জোহরা বেগম । পিতা-মাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। ষোলো বছর বয়সে হরিশপুর গ্রামের মহর আলী বিশ্বাসের কাছে বাংলা ভাষার পাঠ নিয়েছিলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে এটুকুই। তাঁর বয়স যখন চব্বিশ, তখন চুয়াডাঙ্গা জেলার…
শেখ ভানু
শেখ ভানু : হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের ভালিকারা থামে ১৮৪৯ সালে তাঁর জন্ম । তাঁর বাবা মুন্সী নাসির উদ্দিন । তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। অল্প বয়সে পিতাকে সহযোগিতা করার জন্য ব্যবসার মনোনিবেশ করেন। কিছুদিনের মধ্যে ব্যবসায়ে নামযশ করে ‘ভানু বেপারি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পান। একসময় নিজ গ্রামেরই সার বানুকে বিয়ে করেন। কিন্তু…
দ্বিজদাস
দ্বিজদাস : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কালীকচ্ছ গ্রামে ১৮৪৯ সালে জন্ম । তিনি জন্মান্ধ ছিলেন । ছোটবেলা থেকে গানের চর্চা করতেন । পরবর্তীকালে গায়ক হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন । তাঁর মৃত্যুসাল জানা যায়নি । আপনার পছন্দের তালিকায় যোগ করুন
দুদ্দু শাহ
দুদ্দু শাহ : যশোর জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেলতলা গ্রামে ১৮৪১ সালে জন্ম । তাঁর বাবা ঝড়মণ্ডল একজন কৃষক ছিলেন । চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন । হরিশপুর গ্রামে শ্রীনাথ পাঠশালায় তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় । শিক্ষা পেয়েছিলেন আরবি, ফার্সি ও সংস্কৃত ভাষায় । ইসলামি তত্ত্ব ও বৈষ্ণব মতবাদ সম্পর্কে তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল । নিজ…
মেছের শাহ
মেছের শাহ : ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার এক মুসলমান কারিকর পরিবারে ১২৪৭ বঙ্গাব্দের ৮ ফাল্গুন তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা মনিরুদ্দিন কারিকর । পদ্মা নদীর ভাঙনে বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মাসাউজান গ্রামে বসতি স্থাপন করেন । তাঁর চারজন স্ত্রী ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে । তিনি সত্যধর্ম মারুফাতে এছলাম নামে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন।…
শাহ আবদুল লতিফ
শাহ আবদুল লতিফ : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী ফুলগাঁও গ্রামে ১৮৪০ সালে জন্ম । তাঁর বাবা সৈয়দ আনোয়ার উদ্দিন । ছোট থাকতেই বাবা-মা মারা যান। এ সময় নানি তাঁকে লালন-পালন করে বড় করে তোলেন। ভারতের একটি মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করেছেন । তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে বর্তমানে এক মেয়ে জীবিত রয়েছেন ।…
কাঙাল হরিনাথ মজুমদার
কাঙাল হরিনাথ মজুমদার : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১২৪০ বঙ্গাব্দের ৫ শ্রাবণ (১৮৩৩ সাল) জন্ম। তাঁর বাবা হলধর মজুমদার, মা কমলিনী দেবী। তিনি ছিলেন পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। তবে শৈশবেই পিতা-মাতাকে হারিয়ে দুঃখ- দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হয়েছেন। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয়ে ওঠেনি। ১৮৪৮ সালে কুমারখালীতে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জড়িত ছিলেন। এ সময় গঠন করেছিলেন ‘ফিকিরচাঁদ ফকিরের…
রাধারমণ দত্ত
রাধারমণ দত্ত : ১৮৩৪ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে জন্ম। তবে তাঁর জন্মসাল নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তিনি ১৮৩৩ সালে জন্মগ্রহন করেছেন বলেও কোনো কোনো গবেষক জানিয়েছেন। তাঁর বাবা রাধামাধব দত্ত পুরকায়স্থ, মা সুবর্ণা দেবী। রাধামাধব দত্ত বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে কৃষ্ণলীলাকাব্য, পদ্মপুরাণ, ভারতসাবিত্রী, ভ্রমরণীতা,…
কালা শাহ
কালা শাহ : আনুমানিক ১৮২০ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ধাইপুর গ্রামে তাঁর জন্ম । তাঁর বাবা তমিজ বেপারি । তাঁর তিনটি গানের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে । এগুলো হচ্ছে : ‘প্রেম তরঙ্গ, রত্ন সাগর ও আনন্দ সাগর । তিনি প্রায় চার শ গান লিখেছেন । কালা শাহ দেড় শ বছর জীবিত ছিলেন বলে জনশ্রুতি…
পাগলা কানাই
পাগলা কানাই : ঝিনাইদহ সদরের বেড়বাড়ি গ্রামে ১৮০৯ সালের মার্চ মাসে জন্ম । শিশু বয়সে পিতৃহারা হয়ে এক বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন । সেখানেই বড় হয়েছেন । লেখাপড়ার জন্য গ্রাম্য মক্তবে ভর্তি হলেও দুরন্তপনার জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি । তেরো বছর বয়সে জীবিকার তাগিদে এক ব্যবসায়ীর নৌকায় অংশীদার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন কিশোর বয়সে…
অপরাধী হইয়া রে যদি থাকি ওরে বন্ধু
অপরাধী হইয়া রে যদি থাকি ওরে বন্ধু আমারে কাঁদাইয়া মাইরো না আমি জনম ভরা অপরাধী তোমার বিনামূল্যে কিনা । মইলে বোধ হয় তোমার যন্ত্রণা রবে না, আমার গলে ফাঁসি দিয়া মারো তোমায় বাধা দিব না । চন্দ্রার কুঞ্জে কুজার কুঞ্জে যেথায় আনাগোনা তুমি সবার মন রক্ষা করো আমি যে সুখ চাই না । তুমি দয়ার…
শিতালং শাহ
শিতালং শাহ : সিলেট জেলার তৎকালীন করিমগঞ্জ মহকুমার শ্রীগৌরি মৌজায় ১৮০০ সালে জন্ম । তাঁর বাবা মুনশি জাহা বখ্শও একজন ফকির ছিলেন। শিতালং শাহের প্রকৃত নাম মোহাম্মদ সলিম শাহ। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ির মওলানা আবদুল ওয়াহাব ছিলেন তাঁর মারফতি সাধনার দীক্ষাগুরু । শিতালং শাহ নিজে গান গাওয়ার পাশাপাশি গান রচনাও করতেন । তাঁর শিষ্য আসগর…
ফকির ইয়াছিন শাহ
ফকির ইয়াছিন শাহ : আঠারো শতকের শেষ সময়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের লক্ষ্মীপুর গ্রামে জন্ম । পরে তাঁর পূর্বপুরুষেরা মৌলভীবাজার জেলার কাইছনাজুরি গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর বাবা হাজী মুন্সী নুর আলী, মা নছিবা বিবি। জীবতাবস্থায়ই তিনি একজন তত্ত্বজ্ঞানী ফকির হিসেবে সিলেট অঞ্চলে সুপরিচিত ছিলেন। পিতার ঐকান্তিক আগ্রহে ধর্মীয় শিক্ষায় পড়াশোনা শুরু করেন । তবে…
ফকির লালন
লালন । ১৭৭৪ সালে তৎকালীন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার চাপড়া ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে জন্ম । তাঁর বাবা মধাব কর, মা পদ্মাবতী তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। শৈশবে পিতৃহারা লালন আর্থিক দুরবস্থার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তাঁর দুর্বলতা ছিল। জনশ্রুতি রয়েছে, লালন বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে কলা গাছ দিয়ে…
সৈয়দ শাহনুর
সৈয়দ শাহনুর : সৈয়দ শাহনূরের জন্মস্থান নিয়ে গবেষকদের মতবিরোধ রয়েছে । তবে অনেকেই মনে করেন তিনি ১৭৩০ সালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহন করেন আবার কারও মতে, তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জালালসাপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। কারও মতে, তিনি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কদমহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তাঁর বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ নুর ও মা…
দীন ভবানন্দ
দীন ভবানন্দ : আনুমানিক সপ্তদশ শতকে মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার নর্তন গ্রামে তাঁর জন্ম । তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক গান রচনা করেছেন। তবে এসব বচনার অধিকাংশ সংকলনভুক্ত হয়নি। মুজমা রাগ হরিবংশ’ নামে তাঁর একটি পুঁথি রয়েছে । পণ্ডিত পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদের ধারণা, দীন ভবানন্দ তৎকালীন শ্রীহট্টের লাউড় পরগনার বাসিন্দা ছিলেন । অন্যদিকে মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাহিত্যরত্ন জানান,…
মোরে লও সঙ্কট উদ্ধারি
মোরে লও সঙ্কট উদ্ধারি বন্ধু প্রেমিকের কাণ্ডারী রে ॥ চাই না রে তোর দালান কোঠা চাই না ঘরবাড়ি প্রেম ভিক্ষা দেও প্রাণনাথ আমি দুই চরণে ধরি রে ॥ জল ভরি সারি সারি গেলা সব পরি খালি কুম্ভ কাঙ্খে লইয়া আমি যমুনাতে ফিরি রে ॥ যদি না দেও কলসি ভরি দেও রে হীরার ছুরি শরম থনে…
এই নদীর শত ধার, নাও ধরি মুই কী প্রকার
এই নদীর শত ধার, নাও ধরি মুই কী প্রকার প্রাণনাথ আমি যাই প্রেমের বাজারে ॥ কেহ যায় রে বাদাম তুলি, কেহ যায় রে গুণে কেহ যায় রে লগি ভরে, কেহ দাড় টানে কেহ যায় রে সার ভাটাতে কেহ যায় জোয়ারের জোরে কেহ নেয় রে লবণ মরিচ কেহ তামা সীসা কেহ নেয় রে মুগ মুসরি কেহ…
আজার কালার পিরিতেরে শ্যাম
আজার কালার পিরিতেরে শ্যাম আজ কালার পিরিতে জাতি কুল শরম-ভরম সব দিলাম তার হাতে ॥ ভাই বন্ধু ইষ্টি কুটুম যা আছে জগতে সবে বলে কুল ডুবাইছি দাগ লাগাইছি জাতে রে ॥ বন্ধের জ্বালায় তনু কালা কইতে বুক ফাটে, না জানি করিয়া প্রেম এত দুঃখ ঘটে ৷ কাজ নাই আমার কুলমানের কাজ নাই আমার জাতে, পাইলে…
বন্ধু মোর পরানের ধন আমি তোর দাসী
বন্ধু মোর পরানের ধন আমি তোর দাসী হায় রে, তুই বন্ধুর পিরিতের লাগি আমার মন হইয়াছে উদাসী রে ॥ ফুলের বিছানা ফুলের বাসর সাজাইয়া হায় রে, দুই নয়নের বহে জল তুই বন্ধের লাগিয়া রে ॥ যৌবন জোয়ারের জল উথলিয়া পড়ে হায় রে, মিটাতে মনের স্বাধ যদি পাইতাম তোমারে পন্থ যদি কেহ মোরে দিত বাতাইয়া যাইরে…
সোনার পিঞ্জিরা আমার করিয়া গেলায় খালিরে
সোনার পিঞ্জিরা আমার করিয়া গেলায় খালিরে ওয়রে আমার যতনের পাখি, সুয়ারে-একবার পিঞ্জিরায় আও দেখি ৷ আর-আঞ্জামতে এই দেহাতে করলায় পরবাস, এখন মোরে ছাড়িয়া গেলায় করিয়া নৈরাশ রো আর-যেই কোঠায় থাকিয়া তুমি সদায় কইলায় খেলা, সেই কোঠার মাঝে আমার লাগিয়া গেল তালারে ॥ আর তুমি আমি একই ঘরে ছিলু এত দিন, আজি হনে ভিন্ন ভিন্ন পিঞ্জিরা…
কৃষ্ণ আইলা বৃন্দাবন
কৃষ্ণ আইলা বৃন্দাবনে উঠ সব সখীগণ কর্মফলে হইল আজি দরশন। কোন পন্থ দিয়া আইলা, কেহ না দেখিতে পাইলা, নিদ্রা গেলা নগরবাসী আমরা পাইলাম শ্রী চরণ ॥ বন্ধু যখন আইলা দেশে, প্রেম স্রোতে সাগর ভাসে, ফুলের মালা দিয়া গলে সবে কর আলিঙ্গন ॥ মাথার বেশ দু’ভাগ করি, দুই চরণ রাখিতাম বান্ধি ছাড়িয়া না দিব ও নাথ…
কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে ফুলে পাইলা ভ্রমরা
কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে ফুলে পাইলা ভ্রমরা, ময়ূর বেশেতে সাজইন রাধিকা সুয়া চন্দন ফুলের মালা, সখীগণে লইয়া আইলা, কৃষ্ণ রাধার গলে দিলা বাসর হইল উজালা ॥ কৃষ্ণয় দিলা রাধার গলে রাধায় দিলা কৃষ্ণর গলে, উদল ও বদল করি আনন্দে করইন খেলা ॥ সুয়া চন্দন ছিটাইলা, সুগন্ধেতে মোহিত উজালা আনন্দে সখীগণ নাচে দেখিয়া প্রেমের খেলা। কৃষ্ণ…
আজি দরশন মিলন হইল এখন
আজি দরশন মিলন হইল এখন। রাধা কানাই প্রেমলীলা বৃন্দাবন ॥ রাধার হাতে কানাইর বাঁশি, সদায় বাজে দিবানিশি শুনিয়া রাধার মন উদাসে করি উছাটন ॥ রাধা কানাইর প্রেমলীলা, জগতে ঘোষণা কইলা কৃষ্ণ প্রেমের প্রেমিক যারা পাইল চরণ। নিহাশেতে ঢেউ খেলে, জগৎ ভাসে সেই জলে, দুই অঙ্গে মিশামিশি প্রেম বরিষণ ॥ পাগল আরকুম বলইন কৃষ্ণ লীলা, যারা…
আল্লার নামে উদাসী বানাইলো
আচানকি কল পাতিয়া মুর্শিদ মৌলায় নাচাইলো আল্লার নামে উদাসী বানাইলো আলাহু নাম ফুলের মধু আমারে খাইয়াইলো উদাসী বানাইলো হায়গো হায় প্রেম সাগরে জল ধরেনা কাম সাগর শুকাইলো না জানি কি যাদু করলো মুর্শিদ বানিয়ায় গৃহে থাকা হইলো দায় হায়গো হায় মান কুলমান বশ করিয়া তনবদনে মাখাইলো মুর্শিদ আমার সোনার চান অমূল্য রতন মুর্শিদ অন্ধরে নয়ন…
তোমারে সকলে বলে মাবুদ আল্লাহ সাই
তোমারে সকলে বলে মাবুদ আল্লাহ সাই বন্ধু কালিয়ার কানাই আ মায় কি তোর একটু দয়া নাই? তুমিতো দয়াল বন্ধু পার কইরা নেও দুঃখের সিন্ধু খেওয়ার কুলে যেজন ঠেকে তুমি পার করিয়া নেও তাহাকে তোমার নিজগুণে দয়াল বন্ধু সাই। কুরানে কিতাবে শুনি তুমি মওলা রাব্বেকুল গনি লা তাক নাতু দিয়েছো শুনাই গাফুরুর রাহিম তুমি নিশ্চয় জানিয়াছি…
আমার সদায় জ্বলে হিয়া
আমার সদায় জ্বলে হিয়া – নতুন প্রেমে দাগ লাগাইলে তুই বন্ধ রসিয়া । যাদুকরে করে যাদু ,যাদু মন্ত্র দিয়া । তুই বন্ধে করিলে যাদু দুই চক্ষু উড়াইয়া । লাগিয়াছে এস্কের কার্তুস আমার কলিজা ছেদিয়া । কুল গেল কলংক জগতও জুড়িয়া ।। পন্থপানে চাইয়া থাকি সোনা বন্ধুয়ার লাগিয়া । পাইলে তারে ধরমু গলে না দিমু ছাড়িয়া…
তোমার গুনের ধন্য বলিতে
ইয় নবিজি তোমার গুনের ধন্য বলিতে, কোরআনে কিতাবে ধরেনা, তোমার মত করিম রহিম ত্রি জগতে দেখিনা।। আহাদেতে খোদা থাকি মিমের হলকা মধ্যে রাখি পাতললীলা পর্দা রাখি ভবের কারখানা, আহাদে আহাম্মদ হইলায় রসুলুল্লাহ এক বাহানা।। আল্লাহর পিয়ারা তুমি নুরে খোদা নামি দামি, সোনার মনি অন্তরযামী হাবিবে রাব্বানা, কাবাতুল্লা বায়তুল মুকাদ্দাস আরশ কুরসি নয় দুলনা।। লাউলাকের বাদশা…
আইজ পাশা খেলব রে শ্যাম
আইজ পাশা খেলব রে শ্যাম শ্যামরে তোমার সনে একেলা পাইয়াছি তরে এই নঘোর বনে। আইজ পাশা খেলব রে শ্যাম ॥ একেলা পাইয়াছি হেথা, পলাইয়া যাবে কোথা চৌদিকে ঘিরিয়া লইব আমার সব সখিগণে আইজ পাশা খেলব রে শ্যাম ॥ আতর গোলাপও চন্দন মারো বন্দের গায়ে ছিটাইয়া দেও সুয়া চন্দন ওই রাঙা চরণে আইজ পাশা খেলব রে…
দয়াল মুর্শিদও দিবানিশি ডাকিযে তোমায়
দয়াল মুর্শিদও দিবানিশি ডাকিযে তোমায় অভাগীরে দুঃখ দিওনা আমি অতি মুর্খমতি তোমার সাধন ভজন জানিনা।। দুঃখে দুখে কাল কাটাইলাম দুখের ভাগি কেউ হইলো না। বুঝি আমার কর্ম দোষে ও তোমার বন্ধের দয়া হইলো না।। ভাই বন্ধু স্ত্রী পুত্র কেউতো আমায় ভালবাতগসেবা তোমার নামের কলংকনি দয়াল তুমি ছাড়া বুঝিনা। দীনহীন কাঙালে বলে কাঙাল ই দয়া হইলো…
বন্ধু বলিরে তোমায়
বন্ধু বলিরে তোমায় অকুলে ভাসাইলায়রে বিনোদ শ্যামরায় ছিলাম কি আশায় রে বন্ধু দুখিনি করলায় রে কাঙাল বানাইলায় অবলা রাধারে তুমিরে কার হাতে সপলায় বিনোদ শ্যামরায়।। কার কাছে যাবরে বন্ধু কে ডাকিবে আয় কারে দেখে প্রান জুড়াইবেরে দুখিনি রাধায় রে বিনোদ শ্যামরায়। দ্বীনহিনে বলেরে বন্ধু না দেখি উপায় অন্তিম কালে রাঙাচরযন দিও মোর মাথায় আপনার পছন্দের…
আসিয়া ভবের বাজারে
আসিয়া ভবের বাজারে পড়িয়া কামিনীর ফেরে ধন ও রত্নম সব দিলাম যাচিয়ারে । পাগল মনরে নতুন বয়সের কালে, মায়া ফাসী নিলাম গলে, যতনও করিলাম বড় রতনও বলিয়া। না জাইনে বাজারের দিশা, সোনার দরে কিনলাম সীসা, পাগল মনরে লাভের আশায় খাস্তা গেলাম দিয়ারে । (পাগল মনরে ছয়জন হইয়া সঙ্গের সাথী, ঘষ্টাইল আমার দুর্গতি, মদনা চৌরায় সব…
তোমার হিয়ারও মাঝারে
তোমার হিয়ারও মাঝারে বান্ধিয়া রাইখো মোরে নইলে একদিন কান্দিবে ……. তোমার হিয়ারও মাঝারে বান্ধিয়া রাইখো মোরে নইলে একদিন কান্দিবে…….. পাখিটারে গোপনে রাইখো বুকে যতনে পাখিটারে গোপনে রাইখো বুকে যতনে নইলে একদিন কান্দিবে পাখিটার নাম অঞ্জনা দেখতে পাখি মন্দ না ….. ডাক দিলে হৃদয় ডালে বসিবে পাখিটার নাম অঞ্জনা দেখতে পাখি মন্দ না ….. ডাক দিলে…
আমরা প্রেমবাজারে থাকি
আমরা প্রেমবাজারে থাকি আশিক ছাড়া পুরুষ নারী হাবিয়া দোজখি ॥ এশকে আল্লা এশকে রসুল এশকে আদম থাকি আদম হইতে হাওয়া পয়দা প্রেমখেলার লাগিয় জলিকা এশকেতে পাগল ইউসুফের লাগি শিরির জন্য ফরহাদ মইলো খছরু হইলো পাতকী কুমারে দেখিয়া পাগল কন্যা চন্দ্রমুখী সুড়ঙ্গ পথে বাহির হইয়া বেশ ধরিল যোগী ॥ লাইলি আর মজনু পাগল একে দোহার লাগি…
বাউল শাহ আবদুল করিম
জন্ম নাম শাহ আব্দুল করিম জন্ম ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬ উজানধল, দিরাই, সুনামগঞ্জ মহকুমা, সিলেট, আসাম, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) উদ্ভব দিরাই উপজেলা মৃত্যু ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (বয়স ৯৩) সুনামগঞ্জ, সিলেট, বাংলাদেশ ধরন লোকগীতি, বাউল গান, ভাটিয়ালি পেশা গায়ক, গীতিকার, সুরকার বাদ্যযন্ত্র বেয়ালা, তবলা, মান্ডোলিন কার্যকাল ১৯৫২ – ২০০৯ লেবেল সাউন্ড মেশিন দাম্পত্য সঙ্গী আবতুন্নেসা উস্তাদ…
বাউল ক্বারী আমির উদ্দিন আহমেদ
প্রাথমিক জীবনঃ বাংলা সঙ্গীত জগতের প্রাচীনতম এবং অন্যতম সমৃদ্ধ ধারা হচ্ছে বাউল গান বা বয়াতি গান। যুগে যুগে মরমী শিল্পীরা এ ধারাকে আরো এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের আদ্ধাত্মিক চিন্তা চেতনায়, সমাজ এবং পারিপার্শ্বিক সংস্কার ও সচেতনতায়। অনেকেই পেয়ে যান খ্যাতি, আবার অনেকেই থেকে যান পর্দার আড়ালে। বাংলা লোকসংগীত যারা সমৃদ্ধ করেছেন তাদের একজন হলেন জীবন্ত…
মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়া রে
মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়া রে কান্দে হাসন রাজার মন মনিয়া রে।। মায়ে বাপে বন্দী কইলা, খুশির মাঝারে লালে ধলায় বন্দী হইলাম, পিঞ্জিরার মাঝারে।। উড়িয়া যায় রে ময়না পাখি, পিঞ্জিরায় হইল বন্দি মায়ে বাপে লাগাইলা, মায়া জালের আন্দি।। পিঞ্জিরায় সামাইয়া ময়নায় ছটফট করে মজবুত পিঞ্জিরা ময়নায়, ভাঙ্গিতে না পারে।। উড়িয়া যাইব শুয়া পক্ষী, পড়িয়া রইব…
আমি কারে বা দেখাব মনের দুঃখ গো হৃদয় চিরিয়া
আমি কারে বা দেখাব মনের দুঃখ গো হৃদয় চিরিয়া। আমার সোনার অঙ্গ মলিন হইল ভাবিয়া চিন্তিয়া ॥ পুরুষ জাতি সুখের সাথী নিদয়া নির্মায়া। তারা জানে না মনের বেদন কঠিন তাদের হিয়া আমি সাদে সাদে প্রেম করিলাম সরল জানিয়া। আমারে ছাড়িয়া গেল প্রাণনাথে কি দোষ পাইয়া ॥ ভাইবে রাধারমণ বলে মনেতে ভাবিয়া। আমার জগতে কলঙ্ক রইল…